আয়াত এবং তেলাওয়াত, পবিত্র কোরআনের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা।

📕📘 আয়াত ও তেলাওয়াত (বাক্য এবং তা পাঠ করা) এর ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বারবার তাকিদ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন। সেই বিষয়গুলো মুফাসসিরগণ তাদের গবেষণা ও লেখনীর যারা তুলে ধরেছেন বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিভিন্ন বই-পুস্তক ও তাফসীর গ্রন্থ সমূহে।
নিচে তেলাওয়াত এবং আয়াত এর বিষয়ে আলেমদের গবেষণালব্ধ একটি মোটামুটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো–

📕📘#তেলাওয়াত
“তেলাওয়াত” শব্দটি কুরআনের বেশ কিছু জায়গায় ব্যবহার হয়েছে। তবে এই শব্দটির আক্ষরিক অর্থ এবং ব্যবহারিক মর্মার্থ দ্বারা কুরআন না বুঝে পড়াকে বোঝানো হয়নি। বরং এই শব্দটি কুরআনে ব্যবহার করা হয়েছে, জানার জন্য পড়া এবং জানিয়ে দেওয়ার জন্য পড়াকে বুঝাতে।

— অর্থাৎ কুরআনের কথাগুলো পড়ে জানা এবং মানুষকে জানানো ও বোঝানো এবং এর মাধ্যমে মানুষের লাইফ স্টাইলকে সংশোধন করা, পবিত্র করা, আল্লাহর দেওয়া জ্ঞান এবং দিকনির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের লাইফ স্টাইলকে সাজানো এবং আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত, স্বাস্থ্য সম্মত করা। আল্লাহর বলা জ্ঞান অনুযায়ী নিজেকে সংশোধন ও বাস্তবসম্মত করা। মানুষকে আল্লাহর বলা কুরআনের কথাগুলো শোনানো এবং এর মাধ্যমে মানুষের জীবন বাস্তবতা সম্পর্কে জানানো, কুরআনের কথা শুনিয়ে মানুষকে জ্ঞান এবং হিকমাহ্ (বাস্তব পদ্ধতি) শিক্ষা দেওয়া, ইত্যাদি বুঝাতে কুরআনে তেলাওয়াত শব্দটি ব্যবহার হয়েছে।

অর্থাৎ পবিত্র কুরআনে তেলাওয়াত শব্দটির ব্যবহারিক মর্মার্থ দ্বারা কুরআন না বুঝে পাড়াকে বোঝানো হয়নি। বরং এই শব্দটি দ্বারা কুরআনের কথাগুলো জানার জন্য পড়া এবং জানিয়ে দেওয়ার জন্য পড়া বুঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে।

শব্দটি দ্বারা বুঝায়, বর্ণনা করা, শোনানো, জানিয়ে দেওয়া, আবৃত্তি করে শুনিয়ে দেওয়া। উদ্দেশ্য হলো: কোন বিষয় সম্পর্কে সরাসরি আল্লাহর বক্তব্য কি এবং এবিষয়ে আল্লাহর দিকনির্দেশনা কি; তা জানিয়ে দেওয়া। আল্লাহর আলোচনা বা বর্ণনা শুনিয়ে দেওয়া। তাঁর বলা আইন ও দন্ডবিধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া এবং এর মাধ্যমে সংশোধন ও পবিত্র করা।

এ বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে কুরআনের এই আয়াতের কথাগুলো ভালোভাবে দেখা যেতে পারে —-

  • সূরা বাকারা-129, 151,
  • সূরা ইমরান-164,
  • সূরা যুমার-71
  • সূরা ত্ব’লাক-11,
  • সূরা জুমা-2,
  • সূরা মারইয়াম-73,
  • সূরা ইউনুস- 15,
  • সূরা ক্বলম- 15,
  • সূরা মুমিনূন- 66-
  • সূরা জাসিয়া- 6,

📕📘 এবার আসা যাক #আয়াত এর ব্যাপারে। আয়াত অর্থ বাক্য বা বাক্যাং। আর এই বাক্যগুলোকে ইংরেজিতে ভার্স বলা হয়। প্রতিটা আয়াত বা ভার্স আলাদা আলাদা মনোভাব ও অর্থ প্রকাশ করে থাকে। এবং সার্বিক একটা বিষয়কে উপস্থাপন করার জন্য অনেকগুলি ভার্স বা আয়াত একত্রে প্রয়োজন হতে পারে।
“আয়াত” শব্দটি কুরআনের প্রায় দুই শতাধিক জায়গায় ব্যবহার হয়েছে। যার অর্থ প্রমাণ, নিদর্শন, দলিল, চিহ্ন, সূত্র, আলামত, বাস্তবতার নির্দেশক, নিশানা ইত্যাদি। আয়াত হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো বিষয়ের দিকনির্দেশনা, আলোচনা বা বর্ণনা, যা কোন বিষয়ের বৈজ্ঞানিক, আধুনিক, মানবিক, সামাজিক কিংবা এককথায় সার্বিক বাস্তবতা বোঝার জন্য সূত্র এবং মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। যখন কোন কিছু দেখে ও বুঝে কিংবা জেনে, আল্লাহর সত্যতা কিংবা তাঁর আলোচনা, তাঁর হুকুম ও দিকনির্দেশনার বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা, যথার্থতা এবং এর সত্যতা উপলব্ধি করতে পারা যায় তখন তাকে আয়াত বলা হয়।

কোন কিছু প্রমাণ করার জন্য যেসব উপাদানগুলো; প্রমাণ, দলিল কিংবা প্রয়োজনীয় সূত্র হিসেবে কাজ করে, সেইসব উপাদানকেই বলা হয় আয়াত বা নির্দেশক।

অন্যভাবে বলতে গেলে: যে বাস্তবতা দেখা বা প্রত্যক্ষ করার কারণে; বুঝা বা জানার কারণে এবং যে মৌজেযা বা অলৌকিকতা উপলব্ধি করার কারণে তা অস্বীকার করার আর কোনো সুযোগ থাকে না, তাকে আয়াত বা নিদর্শন বলা হয়।

এছাড়াও বলাযায় যে, যখন কোন বিষয়ের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য অন্য কোন বিষয় এসে সেখানে আলামত বা চিহ্ন হিসাবে কাজ করে, তখন তাকে আয়াত বলা হয়।

কোন বিষয়ের সত্যতা এবং যথার্থতা বোঝার জন্য যখন অন্য কোন কিছু এসে সেখানে প্রত্যক্ষ বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ায়, যা সত্য প্রমাণের জন্য নির্দেশক হিসেবে কিংবা নিশানা বা নিশানী হিসেবে কাজ করে, তখনই তাকে আরবিতে আয়াত বা নিদর্শন বলা হয়।

যেমন প্রকৃতিতে যে বাস্তবতা রয়েছে তাও আয়াত বা আল্লাহর নিদর্শন। যা আল্লাহর সত্যতাকে প্রমাণ করে, অর্থাৎ এর সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করে। ঠিক একই ভাবে কুরআনের কথাগুলো নিজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আল্লাহর সত্যতাকে প্রমাণ করে। যেহেতু কুরআনের আয়াত বা কথাগুলো অস্বীকার করার কোন সুযোগ কিংবা সূত্র মানুষের হাতে নাই বা নেই।

অর্থাৎ কুরআনের কথাগুলোকে আয়াত বা নিদর্শন বলার কারণ হলো এটি একদিকে নিজেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে দলিল বা প্রমাণ হিসাবে কাজ করে। আবার অন্যদিকে প্রকৃতি, বিজ্ঞান এবং মানুষের জীবন বাস্তবতাও, কুরআনের কথাগুলোর সত্যতার বিষয়টিকে প্রমাণ করে দিতে এবং বাস্তবে দেখিয়ে দিতে সহায়তা করে।

যখন কোনো মাধ্যম কিংবা প্রয়োজনীয় উপাদান দ্বারা কোন কিছু বুঝতে পারা যায়, উপলব্ধি করা যায়, কোন বিষয়ের সত্যতা এবং যথার্থতা বোধগম্য হয় এবং যা নিজেও প্রমাণ, নিদর্শন বা দলিল হিসেবে কাজ করে, তাকেই আয়াত বলা হয়।

বিস্ময়কর কিছু বাস্তবতার কারণে কিংবা অলৌকিক কিছু উপলব্ধি করার কারণে সত্যকে সত্য হিসেবে বুঝে নেওয়া। যার ফলে তা অস্বীকার করাকে, দুঃসাহস দেখানোর স্বামীল বলে গণ্য করা হয়। এজন্যই তাকে আয়াত বা নিদর্শন বলা হয়। ফলে যা অন্তর থেকে অস্বীকার করার আর কোন সুযোগ থাকে না। তারপরেও যদি তা কেউ অস্বীকার করে, তবে এটাকে যৌক্তিকভাবে একগুঁয়েমি স্বভাব বলা হয় এবং কুরআন এই আচরণকে সুস্পষ্ট কুফর হিসেবে গণ্য করে অর্থাৎ সে পূর্ণ কাফের হয়ে পড়বে। এজন্যই কুরআনের কথাগুলোকে বলা হয় “আয়াত”।

বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে কুরআনের এই আয়াতের কথাগুলো ভালোভাবে দেখুনঃ-

-সূরা জাসিয়া- 3-6
-সূরা যারিয়াত- 20
-সূরা নাযিয়া- 20
-সূরা আশ শুআরা- 4, 8, 15, 67, 121, 154, 158, 190, 197,
-সূরা হুদ- 59, 64, 96,
-সূরা যুখরুফ- 48,
-সূরা দুখান- 33,
-সূরা ইউনুস- 5-7, 21, 24, 74, 92, 97,
-সূরা আন‌’আম-4, 21, 25, 35, 37, 39, 97, 99, 109, 126,
-সূরা সাজদা- 26,
-সূরা সাবা- 15, 33,
-সূরা মায়েদা 114,
-সূরা ইমরান -13, 86, 183, 190,
-সূরা ইয়াসীন- 33, 97,
-সূরা আনফাল-58,
-সূরা বাকারা-164, 211, 259,
-সূরা আম্বিয়া-5
-সূরা ত্বহা- 47,54, 56, 72, 127, 128, 133, 134,
-সূরা মুমিন- 13, 22 23, 28, 34, 50, 56, 78, 81, 82,
-সূরা হামিম সাজদাহ- 39, 53,
-সূরা বনী ইসরাঈল- 1, 12, 13, 59, 98, 101-102,
-সূরা শূরা- 32, 33, 35,
-সূরা আনকাবূত- 44, 49, 50,
-সূরা মুমিনূন- 30, 45, 50,
-সূরা রুম- 20-25, 49, 47, 58,
-সূরা নামল- 12-13, 52, 86
-সূরা হজ্জ-36,
-সূরা কাসাস- 35-36,
-সূরা যুমার- 42,
-সূরা লোকমান- 32,
-সূরা কাহাফ- 9,17, 59, 105-106,
-সূরা নাহল- 11-13, 44, 64, 79, 105,
-সূরা ইউসূফ- 7, 35,105,
-সূরা আ’রাফ- 58, 73, 103, 126, 133, 136, 146, 147, 174, 203,
-সূরা ইব্রাহীম- 5, 81, 75,
-সূরা রাদ- 2-3, 9, 27, 38,
-সূরা ক্বলম- 15

📕📘মহান আল্লাহ্ তা’আলা সূরা আল কামার চারটি আয়াতে বারবার বলেনঃ-
“আমি এই কোরআনের কথাগুলোর মর্ম বোঝা মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছি । অতএব তোমাদের মধ্যে কি কেউ আছে যে কোরআনের পথ-নির্দেশ গুলো বা কথাগুলো বুঝতে চায় ?
—সূরা কামার- আয়াত- 17, 22, 32 এবং 40

📕📘সূরা মুহাম্মদ এর – আয়াত-24 নং আয়াতে আল্লাহ মোটামুটি ধমকের সুরে বলেন–
“”তোমরা আমার এই কোরআনের কথাগুলো নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করছো না কেন ? তোমাদের অন্তর কি তালাবদ্ধ”” ?
আয়াতের শেষে “তোমাদের অন্তর কি তালাবদ্ধ” এই বাক্য দ্বারা আল্লাহ ওই সমস্ত লোকদেরকে তিরস্কার করেছেন যারা কোরআন নিয়ে গবেষণা করে না এবং চিন্তা ভাবনা করে না আর কোরআন কি বলেছে কি আদেশ ও নিষেধ করেছে তা থেকে তারা শিক্ষা লাভ করে না।

📕📘আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কোরআনের সূরা ইয়াসীন-70 এবং সূরা ফাতির-22 নং আয়াতে বলেন–
মৃত লাশের জন্য আমি এই কুরআনের কথাগুলো পাঠাইনি।
কবর বাসীদেরকে আপনি আমার এই চূড়ান্ত লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত কুরআনের কথাগুলো শোনাতে পারবেন না। এটি পাঠিয়েছি জীবিতদেরকে দিকনির্দেশনা জানিয়ে দিতে। অথচ আজকাল দেখা যায় যে মৃত মানুষকে কোরআন শোনানো হচ্ছে। কবরের পাশে গিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করা হয় এবং মানুষ মারা গেলে তার চারপাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। অথচ জীবিত থাকা অবস্থায় সেই লোকটার কাছে কোরআন পড়া হতো না এবং এমন বহু জীবিত লোক আছে যাদের কাছে কোরআন পড়া হলে তারা রাগ হয় এবং তারা সেখান থেকে সরে পড়ে।

পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদা-44, 45, 47 নং আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা বলেন—
“”যারা আমার পাঠানো আইন বা বিধান অনুযায়ী বিচার মীমাংসা করে না, সবকিছুর পরিচালনা বা কর্ম পরিকল্পণা গ্রহণ করে না, তারা তো পূর্ণ কাফের, পূর্ণ জালেম, পূর্ণ ফাসেক।
অতএব এখানে তিনটি আয়াত দ্বারা একেবারে স্পষ্ট হয়ে গেল যে যারা পবিত্র কোরআনের আইন ও বিধান অনুযায়ী বিচার ফায়সালা করে না এবং জমিনের মধ্যে আইন তৈরি করে না বরং বড় বড় আইন সভা ও সংসদ বানিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো আইন তৈরি করে তারা কাফের পাপাচারি এবং জালিম।
মুফাসসিরগণ বলেছেন আল্লাহ তিনটি আয়াতে তিন প্রকার লোকের কথা এই জন্য বর্ণনা করেছেন যে,
যারা আল্লাহর আইনের বিপরীতে আইন তৈরি করে স্বেচ্ছায় এবং যারা মনে করে যে বর্তমানে সেই 1400 বছর আগের আইন চলবে না তারা মূলত সরাসরি কাফের।
আর এই কাফেরদের আবাসস্থল হল অনন্তকাল জাহান্নাম। তারা যতই কালেমা পড়ুক যতই নামাজ রোজা যাই কিছু করুক যদি আল্লাহর আইনের বিপরীতে অথবা আল্লাহর আইন এর বিকৃত সাধন করেন নতুন কোন আইন তৈরি করে আইন সবার মাধ্যমে অথবা যে কোন ভাবে তবে তারা কাফের হিসেবে গণ্য হবে।।
মুফাসসিরগণ ওই সমস্ত লোককে এই আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী জালিম হিসেবে বর্ণনা করেছেন যারা এই আইনগুলো অত্যন্ত খারাপ এবং মানব রচিত জেনেও এই আইন দিয়ে বিচার ফায়সালা করে অর্থাৎ হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট ইত্যাদি হয়ে বিচার ফায়সালা করে। কিন্তু তাদের ইচ্ছা ছিল না আল্লাহর বিরোধী আইন দিয়ে বিচার ফায়সালা করার তবে তারা বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তাদেরও যদি ইচ্ছা থাকে যে এই আইন গুলি ইসলামী আইনের চেয়ে অনেক ভালো তবে তারাও সরাসরি কাফের হয়ে যাবে।
এখানে তিনটি আয়াতের মধ্যে একটি আয়াতে বলা হয়েছে যারা আল্লাহর আইন দিয়ে বিচার ফায়সালা করে না আইন তৈরি করে না তাদেরকে পাপাচারী বলা হয়েছে। এখানেও যারা নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে অথবা বিচারক হয়ে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে আইন দেওয়া ইচ্ছা ছিল না কিন্তু দিতে বাধ্য হচ্ছে অথবা এই চাকরি করছে বলে দিচ্ছে তারা এখানে পাপাচারি হবে কিন্তু কাফের হবে না। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় এই আইনগুলোকে মেনে নেয় এবং তাদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি না হয় তবে তারাও সরাসরি কাফের হিসেবে গণ্য হবে।।।

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সূরা হাক্কাহ্-44-46 নং আয়াতে বলেন—
“নবী যদি তার নিজের কোনো কথা আমার নামে কুর‌আনের ভেতরে চালিয়ে দিত, তাহলে আমি তার হাত চেপে ধরতাম, তার কণ্ঠনালী কেটে ফেলে দিতাম এবং তোমাদের কেউই তাকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারতে না!

পবিত্র কোরআনে,সূরা ফাতির- আয়াত-37 নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে–
“”হে জাহান্নামিরা (জুলুমকারীরা) আমি “আল্লাহ্” কি তোমাদেরকে দুনিয়ায় বেঁচে থাকার জন্যে এতটা সময় সুযোগ বা বয়স দেয়নি ? যাতে তোমাদের যে কেউ আমার এই কুরআনের কথাগুলো জেনে নিতে চাইলে সে জেনে নিতে পারত ? তোমরা নিজেদেরকে শুধরে নিতে চাইলে শুধরে নিতে পারতে” ?

কুরআনুল কারীমের সূরা ফুরকান-30 নং আয়াতে আছে–“”তারপর রাসূল (সাঃ) হাশরের মাঠে আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে বলবেন ( নালিশ করে বলবেন ) হে আল্লাহ্ এই জাতি কুরআনের কথাগুলোকে বাদ দিয়ে অনেক দূরে সরে গিয়েছিল “”!

আল্লাহ জাল্লা শানুহু সূরা ত্ব’হা-124 নং আয়াতে বলেন—
“যারা আমার এই কুরআনের কথাগুলো পড়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখবে; আমি তাদের আশা, চিন্তা চেতনার সীমা এবং সফলতা বিষয়ক ধারণাকে অতি সংকীর্ণ করে দেব!

Leave a comment